Thursday, February 18, 2021

মধু কেন খাবেন? কিভাবে খাবেন? কতটুকু খাবেন?

প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে মধু খেলে সুস্থ ও সুরক্ষিত থাকা সম্ভব। আর মধু প্রাকৃতিক উপাদান হওয়ায় তা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

১) আদা, পান, তুলসীর রসের সঙ্গে মধু মিছিয়ে দিনে দু'তিনবার খেলে কাশি কমে যায়।
২) ঠাণ্ডা লাগলে বা সর্দি হলে নাক দিয়ে পানি পড়লে বা ভেতরে জমে থাকা কফ বের করতে হলে মধু মিছরি ও মেহেদী পাতার রস পরপর ৮-১০ দিন নিয়মিত সেবন করলে সর্দি কমে যায়।
৩) হঠাৎ যদি দাঁতে ব্যথা অনুভব হয় তাহলে মধুতে তুলা ভিজিয়ে ব্যথার স্থানে রাখলে ব্যথা কমে যাবে।
৪) দু'চামচ মধুতে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ও রাতে সেবন করলে রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে যায়।
৫) এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক চামচ লেবু ও এক চামচ আদার রস এবং দু'চামচ মধু মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রশমিত হয়।
৬) অনিদ্রা নিয়মিত হতে থাকলে রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে পানিতে মিশিয়ে সেবন করলে উপকার পাবেন- ভালো ঘুমও হবে।
৭) প্রতিদিন সকালে ২০ গ্রাম মধু ঠাণ্ডা পানিতে মিশিয়ে ৪-৫ মাস খেলে চুলকানি, ফুসকুড়ি ইত্যাদি চর্মরোগ সেরে যায়।

Tuesday, July 10, 2018

অকালে চুল পেকে গেলে কী করবেন ?






অনেকের অল্পবয়সেই চুল পাকতে শুরু করেছে। মাথার চামড়ায় (ত্বকে) পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজের অভাবে চুল পাকতে পারে। কম বয়সে চুল পাকার ফলে অনেকেই অস্বস্তিতে বোধ করেন। তবে ঘরে বসে সহজেই অকালে চুল পাকা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।  জেনে নিন তার উপায়…

✔✔✔ গাজরের রস এর  সঙ্গে জল, চিনি ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ ভাবে এই মিশ্রণ বানিয়ে নিয়মিত খান। দ্রুত উপকার পাবেন।

✔✔✔ পেঁয়াজ বেটে প্রতিদিন চুলের গোড়ায় মালিশ করুন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। অল্প ক’দিনের মধ্যেই পাকা চুলের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।

✔✔✔ বাদাম তেলের সঙ্গে তিলের বীজ গুঁড়ো করে ভাল করে মিশিয়ে মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ভাল ভাবে মেখে ২০-৩০ মিনিট রেখে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারলে দ্রুত উপকার পাবেন।

✔✔✔ আমলকির গুঁড়োর সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট চুলের গোড়ায় মালিশ করুন। তারপর ভাল ভাবে ধুয়ে ফেলুন। পাকা চুলের সমস্যায় দ্রুত উপকার পাবেন।

✔✔✔ পাকা চুলের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে হলে প্রতিদিন নারিকেল তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় মাখুন। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই পাকা চুলের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।

Thursday, February 1, 2018

কোন খাবারগুলো খেলে হার্ট সুস্থ থাকবে?


দিন দিন আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে  হার্টের রোগ। কিন্তু এর সমাধান আছে? হ্যা খাবার নিয়ন্ত্রণ করে হার্টকে সুস্থ রাখা সম্ভব।

জেনে নিন যেসব খাবার খেলে হার্ট ভালো থাকে ঃ

১. ভিটামিন-সি ও ক্যারটিনয়েড : ক্যারটিনয়েড ও ভিটামিন-সি যুক্ত ফলমূল হচ্ছে: কমলালেবু, পেঁপে, আপেল, কলা, স্ট্রবেরি, আঙ্গুর ইত্যাদি। এই খাবারগুলোর শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হার্টের জন্য খুবই উপকারী।

২. রান্নায়  তেলের সঠিকব্যবহার : হার্টের সুস্থতায় রান্নায় অলিভ ওয়েল বা বাদাম তেল ব্যবহার করা ভালো। ভেজিটেবল ওয়েলও হার্টের জন্য ভালো।

৩. সবুজ শাক-সবজি ও ফলমূল   : নিয়মিত তাজা ফলের রস হার্টের জন্য খুবই ভালো। সবুজ শাক-সবজির মধ্যে পালংশাক, লাউ, কুমড়া, গাজর, বিট, বাঁধাকপি, ভুট্টা, লাল আলু ইত্যাদি হার্টের জন্য বেশ উপকারী।

৪. খাবার তালিকায় মাছ  : মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায় যা খেলে হার্টের রোগের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে আসে। পাশাপাশি এই এসিড রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ও রক্তনালীতে কোলেস্টেরল জমাট বাঁধা প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

৫. আদা, রসুন ও হলুদ : রান্নার সময় মসলা হিসেবে আদা, রসুন ও হলুদ ব্যবহার করুন। এগুলো রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

Monday, January 29, 2018

পান পাতা খাওয়ার উপকারিতা অনেক???

পান পাতায় একাধিক উপাদান নানাবিধ রোগের প্রকোপ হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিস্তারিত জেনে নিন.......................................

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে : পান পাতায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং উপকারি উপাদান, যা বর্জ্যের উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পান পাতার রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।

গলা ব্যথা কমায় : অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকার কারণে গলা ব্যথা এবং ঠাণ্ডা লাগার মতো সমস্যা কমাতে পান পাতা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন পান পাতার সঙ্গে অল্প করে মধু খেলে গলার সংক্রমণও দূর হয়।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করে : মুখ গহ্বরে উপস্থিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে মুখের বদ গন্ধ দূর করতে পান পাতার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে পান পাতা চেবানোর সময় প্রচুর মাত্রায় স্যালাইভা তৈরি হয়, যা গন্ধ সৃষ্টিকারি ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে। সেই সঙ্গে পি এইচ লেভেলকে স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসে। ফলে গন্ধ একেবারে গায়েব হয়ে যায়।

জয়েন্ট পেইন কমায় : পলিফেনাল নামে এক ধরনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে পান পাতায়, যা প্রদাহ বা যন্ত্রণা কমাতে দারুন কাজে আসে।

মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় : বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত পান পাতা খাওয়া শুরু করলে মুখের অন্দরে বাসা বেঁধে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার মেরে ফেলে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যাভিটি এবং দাঁতের ক্ষয় হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কমে।

অবসাদ কমাতে এবং মন ভালো করতে কাজে আসে : যারা মারাত্মক মানসিক চাপে ভুগছেন তারা আজ থেকেই পান পাতা খাওয়া শুরু করুন। কারণ এতে উপস্থিত বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপাদান নিমেষে মন ভাল করে দেয়। সেই সঙ্গে ডিপ্রেশন কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ওজন হ্রাসে সাহায্য করে : যে কোনও অনুষ্ঠানে ভোজের পর পান পরিবেশন করার রেওয়াজ রয়েছে কেন জানেন? কারণ পান পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আমাদের বিপাক প্রক্রিয়াকে জোরদার করে। সেই সঙ্গে হজমে সহায়ক রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দিয়ে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। এখানেই শেষ নয়, পান পাতায় উপস্থিত ফাইবার, কনস্টিপেশন দূর করে এবং শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বিকে গলিয়ে দেয়। ফলে একাধারে যেমন ওজন হ্রাস পায়, তেমনি নানাবিধ শারীরিক সমস্যাও কমতে শুরু করে।

ক্ষত সারাতে কাজে দেয় : পান পাতায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই উপাদানটি যে কোনও ক্ষত সারিয়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে ক্ষতস্থানে প্রথমে অল্প করে পান পাতার রস দিয়ে দিন। তারপর তার উপর কয়েকটি পান পাতা রেখে ব্য়ান্ডেজ দিয়ে বেঁধে দিন। এমনভাবে ১-২ দিন থাকলেই দেখবেন ক্ষত একেবারে সেরে গেছে।

বদ হজমের সমস্যা দূর করে : যারা প্রায়শই বদ হজমে ভুগে থাকেন, তারা আজ থেকেই পান পাতা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন। কারণ এতে রয়েছে গ্য়াস্ট্রো প্রটেকটিভ এজেন্ট। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি-ফ্লটুলেন্ট এবং কার্মিনেটিভ এজেন্ট, যা স্যালিভারি জুসের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে হজম ক্ষমতার যেমন উন্নতি ঘটে, তেমনি খাবারে উপস্থিত খনিজ এবং বাকি পুষ্টিকর যাতে ঠিক মতো শরীর দ্বারা শোষিত হয় সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে সার্বিকবাবে শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে একাধিক রোগও দূরে পালায়।

সুত্রঃ ইন্টারনেট

Sunday, December 31, 2017

সারাদিনের কর্মশক্তির অন্যতম উৎস কিশমিশ



স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে জন্য খাদ্যতালিকায় কিশমিশ রাখতে পারেন। প্রতিদিন এই কিশমিশ খেলে যাদুমন্ত্রের মতো কাজ করবে। এবার জেনে নিন কিশমিশ আমাদের শরীরের কোন কোন উপকার করে-

ভালো রাখে মুখের স্বাস্থ্য : 
ক্যান্ডির মতো দাঁতে লেগে থাকেনা কিশমিশ, ফলে থাকে না ক্যাভিটি তৈরির আশঙ্কা। বরং কিশমিশের পাইথোনিউট্রিয়েন্ট, অলিয়ানলিক এসিড নামে পরিচিতি যা ব্যাকটেরিয়া থেকে তৈরি দাঁতের ক্যাভিটি ধ্বংস করে মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

হাড় সুস্থ রাখে :
আজকাল অস্টিওপোরোসিস রোগে অনেকেই ভুগে থাকেন। হাড়ের এই রোগ প্রতিরোধ করতে বোরন নামের খনিজ পদার্থ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর কিশমিশ বোরনের অন্যতম উৎস। বোরনে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম— যা হাড় গঠনের পাশাপাশি শরীরে টেসটোসটেরন এবং ইস্ট্রোজেনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে :
নিয়মিত কিশমিশ খেলে বৃদ্ধ বয়সে দৃষ্টিহীন হওয়ার সম্ভবনা কমে যায়। পাশাপাশি কিশমিশে থাকা পলিফেনল উপাদান ক্ষতিকারক ফ্রি-রেডিকেলস ধ্বংস করে চোখকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।

অ্যান্টি কোলেস্টের উপাদান :
কিশমিশে কোলেস্টেরলের পরিমাণ শূন্য। শুধু তাই নয়, এতে আছে অ্যান্টি কোলেস্টেরল উপাদান যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়া কিশমিশে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার যকৃত থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সহায়তা করে। এককাপ কিশমিশ থেকে ৪ গ্রাম দ্রবণীয় ফাইবার পাওয়া যায়।

তাছাড়া কিশমিশে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পলিফেনল কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে এনজাইম শোষণ করা থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করে।

দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা করে :
অনেকে ভাবতে পারেন কিশমিশে চিনি রয়েছে যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু চিনির পাশাপাশি কিশমিশে রয়েছে ওলিনোলিক এসিড যা মুখের ভেতরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধা দেয় এবং ক্যাভিটি প্রতিরোধে কাজ করে।

মস্তিষ্কের খাদ্য :
কিশমিশে থাকা বোরন মস্তিষ্কের খাদ্য হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া বোরন মনোযোগ বৃদ্ধি, চোখের সঙ্গে হাতের সামঞ্জস্য বাড়ানো স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করে। একশ গ্রাম কিশমিশ থেকে ২.২ মি.গ্রা. বোরন পাওয়া যায়।

রক্তস্বল্পতা দূর করে :
আমরা সকলেই জানি দেহে আয়রনের অভাবের কারণে রক্তস্বল্পতার সমস্যা শুরু হয়। কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। ১ কাপ কিশমিশে রয়েছে প্রায় ৬ মিলিগ্রাম আয়রন যা আমাদের দেহের প্রায় ১৭% আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে :
বিষাক্ত পদার্থ দূর করে রক্ত শুধু পরিষ্কারই করে না, পাশাপাশি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে কিশমিশ। মূলত কিশমিশে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

সাধারণত উচ্চ মাত্রার সোডিয়াম শরীরে রক্তচাপ বাড়ায়। কিশমিশ শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

Saturday, December 30, 2017

রোজ ৩টি করে ডিম খেলে কী হবে জেনে নিন




কোলেস্টেরল বেড়ে যাবে। ওজন বাড়বে হু-হু করে। এই সব শুনে আপনি হয়তো ডিম খাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই গরম সেদ্ধ ডিম চোখের সামনে দেখেও নিজেকে সংযত করে ফেলছেন। ভুল করছেন। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। আপনি ভুল করছেন। সাম্প্রতিক গবেষণা ও সমীক্ষায় চিকিৎসকরা যা বলছেন, তা আপনার ধারণার সঙ্গে একেবারেই মেলে না। জানেন কি? ভালো থাকার জন্য রোজ দুই থেকে ৩টি ডিম খাওয়া উচিত। ডিম কতটা শরীরের জন্য় উপকারী, সাম্প্রতিক গবেষণাই তার প্রমাণ।

১. হৃদরোগের সম্ভাবনা কমায়

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানার বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের গবেষণায় ১৫২ জন অতিস্থুল ব্যক্তিদের তিনটি গোষ্ঠীতে ভাগ করা হয়। এক গোষ্ঠীকে বলা হয়, ব্রেকফাস্টে যা ইচ্ছে তাই খেতে। দ্বিতীয় দলকে বলা হয়, ব্রেকফাস্টে দুটি করে ডিম খেতে। তৃতীয় গোষ্ঠীকে বলা হয় ব্যাগেলস খেতে। রেজাল্টে দেখা গিয়েছে, যাঁরা রোজ দুটি করে ডিম খেয়েছেন, তাঁরা বাকি দুই গোষ্ঠীর থেকে ৬৫ শতাংশ বেশি ওজন ঝরিয়েছেন ও ৩৫ শতাংশ পেটের মেদ ঝরিয়েছেন।

ডিমে থাকা প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ রক্তে থাকা ট্রাইগ্লিসারিড লেভেল কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। যার জেরে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে।

২. প্রসবজনীত সমস্যার ঝুঁকি কমায়

একটি ডিমে ০.৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন B9 থাকে, যাকে ফলিক অ্যাসিডও বলা হয়। গর্ভাবস্থায় শরীরে ফলিক অ্যাসিডের পরিমাণ কম হলে শিশুর সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম ঠিক মতো তৈরি হয় না। ফলে নার্ভের রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

৩. বয়সকে ধরে রাখে

বার্লিনের বিখ্যাত হেল্থ সেন্টার Charité-র গবেষণা বলছে, ডিম ত্বকের বলিরেখা পড়তে দেয় না। ফলে বয়স বৃদ্ধিজনীত ত্বকের সমস্যা কমিয়ে দেয়। চামড়ায় উজ্জ্বলতা আনে। ত্বকের ক্যান্সারও রোধ করে। চিকিত্‍সা বিজ্ঞানীদের মতে, ডিমের কুসুমে প্রাকৃতিক হলুদ রং থাকে। ওই রঙে প্রচুর পরিমাণ ক্যারোটেনয়েড থাকে। যা ত্বককে উজ্জ্বল করে।

৪. ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায়

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, একটি ডিম স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ১৮ শতাংশ কমিয়ে দেয়। শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

৫. চুল, ত্বক ও লিভার ভালো রাখে

ডিমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন B12, বায়োটিন ও প্রোটিন থাকে। যা চুলের বৃদ্ধি ও চামড়ার জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে ডিমের কুসুম চুলের জন্য দারুণ উপকারী।

৬. চোখ ভালো রাখে

ডিমে থাকা প্রচুর পরিমাণ লিউটিন, ভিটামিন A ও zeaxanthin চোখের জন্য খুবই উপকারী। দিনের আলোয় চোখের উপর যে চাপ পড়ে, তা কমিয়ে দেয়। দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।

৭. ওজন কমায়

ডিম শরীরে ব্যাড ফ্যাট জমতে দেয় না। খিদের মাত্রা কমায়। গুড ফ্যাট ওজন ঝরাতে সাহায্য করে।

৮. হজম ক্ষমতা বাড়ায় ও সুস্থ রাখে

ডিমে থাকে choline, যা শরীরে মেটাবলিজমের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ফলে এনার্জি তৈরি হয়। ওজন ঝরে। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রিম্যাচিওর বেবি হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।

৯. শরীরের হাড় মজবুত করে

ডিমে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন D পরিমাণ বেশি থাকায়, হাড় ও দাঁত মজবুত করে। জয়েন্ট পেইন হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।

হলুদের অসাধারণ ৭ স্বাস্থ্যগুণ জানেন কি?



হলুদ মূলত বহু রোগের ওষুধ হিসেবে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় এবং কিছুটা তিৎকুটে স্বাদবিশিষ্ট হয়ে থাকে। এবার জেনে নিন  হলুদের অসাধারণ ৭ স্বাস্থ্যগুণ।


১. হলুদ ভারতীয় ধাঁচের রান্নায় রংয়ের ছোঁয়া দেয়। এটি খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে এবং খাবারের গুণও বৃদ্ধি করে।
২. হলুদে রয়েছে সংক্রমণ প্রতিরোধের ওষুধ। একে অনেকেই প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক বলেন। এটি ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে কার্যকর। এ কারণে কেটে গেলে, পুড়ে গেলে কিংবা অন্য যেকোনো আঘাতের ওপর হলুদ লাগানো হয়।
৩. ঠাণ্ডা সমস্যার সমাধানে একটি কার্যকর ওষুধ হলুদ। এ জন্য এক গ্লাস গরম দুধে সামান্য হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হয়।
এটি রাতে পান করলে ঠাণ্ডা সমস্যা দূর হয়।
৪. বিশেষজ্ঞরা জানান, হলুদ দেহের দূষিত পদার্থ দূর করতে ভূমিকা রাখে।
৫. বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মস্তিষ্কের স্মৃতি বিধ্বংসী রোগ অ্যালঝেইমার্স প্রতিরোধ কিংবা বিলম্বিত করতে পারে হলুদ।
৬. মানুষের দেহের ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে হলুদ। এ ছাড়া বিপাক ক্রিয়াও বৃদ্ধি করে হলুদ।
৭. ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে হলুদ খুবই কার্যকর। এসব সমস্যার মধ্যে রয়েছে সোরিয়াসিস, যা হলুদ প্রয়োগে দূর করা যায়।